গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবিতে এবার স্যানিটারি মালামাল চুরি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম আলো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির রেশ কাটতে না কাটতে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার কম্পিউটার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে স্যানিটারি ফিটিংসসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া মালামালের মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার সৈয়দ আনিসুল সাদেক চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের ছাদের দরজা দিয়ে চোর ভেতরে প্রবেশ করেছে। দরজার কিছু অংশ ভাঙা দেখা গেছে। পরে ফ্ল্যাটগুলোর তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্যানিটারি ফিটিংসগুলো চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী বলেন, নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার পর ভবনটিতে এখনো কোনো কর্মকতা ওঠেননি। এ মাসেই হয়তো কর্মকর্তাদের ভবনের ফ্ল্যাটগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার পর ভবনটি এস্টেট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর থেকে সেগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলীকে প্রধান করে গত বুধবার চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আমি (নূরউদ্দিন), উপপরিচালক (হিসাব) শেখ সুজাউদ্দিন ও সেকশন অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান। গতকাল রোববার থেকে কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে স্যানিটারি ফিটিংসসহ বিভিন্ন মামলামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমার মনে হয়, এটা বাইরের কোনো লোক করেনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের কোনো লোক করেছে। তারা মালামাল নিয়েছে আবার কিছু মাল রেখেও গেছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। যে মালামালগুলো রেখে গেছে সেগুলোর থেকে হাতের ছাপ নিয়ে ওই চোরদের শনাক্ত করতে সুবিধা হবে। কমিটির সদস্যদের বলেছি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হোক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার পর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ঈদুল আজহার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে দুটো কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।