গৌরনদীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর ইসলাম সরদার (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা আজ শুক্রবার থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তানভীর ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তানভীর ওই স্কুলছাত্রীকে লক্ষ্মণকাঠি গ্রামে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে তানভীর কিশোরীকে ধর্ষণ করে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়। তার বাবা একজন দিনমজুর। কিশোরীটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ছে। একই থানার পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফিরোজ সরদারের বখাটে ছেলে তানভীর ইসলাম সরদার দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস আগে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তানভীর ওই স্কুলছাত্রীকে লক্ষ্মণকাঠি গ্রামে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে তানভীর কিশোরীকে ধর্ষণ করে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে বাড়িতে খবর দিলে তাঁরা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে গোপনে চিকিৎসা দেন।

বিষয়টি গোপন রাখতে এবং থানাকে না জানাতে বাটাজোর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাসুম তাঁদেরকে ভয়ভীতি দেখান। তিনি শুরুতে মামলা করতে দেননি এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি গোপন রাখতে এবং থানাকে না জানাতে বাটাজোর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাসুম তাঁদেরকে ভয়ভীতি দেখান। তিনি শুরুতে মামলা করতে দেননি এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মাসুম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে তানভীর ইসলাম সরদারকে আসামি করে আজ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি তানভীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।