গৌরনদীতে ‘লাঞ্ছিতের’ অভিযোগ এনে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মাদ জহির সাজ্জাদ
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জহির সাজ্জাদ নিজে এই অভিযোগ করেন।

বেলা দুইটায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের মেয়র ব্যালট না দেওয়ার অভিযোগ এনে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যান। তিনি শাওড়া বুথে নৌকার এজেন্টের নৌকার ব্যালটে সিল মারার দৃশ্য দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন। এ সময় তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। বেলা ১১টায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেয়র পদের ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করলে নৌকার এজেন্টরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

জহির সাজ্জাদ আরও অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে ১৪টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে সরকারি দলের ক্যাডাররা কেন্দ্র দখলে নেয়। তারা ভোটারদের কাছ থেকে মেয়র পদের ব্যালটটি ছিনিয়ে নেয় এবং নৌকায় সিল দেয়। ভোটারদের শুধু কাউন্সিলরের দুটি করে ব্যালট ভোটারের হাতে দেয়। তিনি নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।

গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে
ছবি: প্রথম আলো

সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সামনে কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়র ব্যালট নিয়ে সিল মারার ব্যাপারে বিএনপি মিথ্যাচার করেছে।’

আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া বলেন, বিএনপির প্রার্থী কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি। নিজের ব্যর্থতার দায় এড়াতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ওপর অভিযোগ চাপিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক মিথ্যাচার করেছেন।

বরিশালের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, নজিরবিহীন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে বিপুল ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।