বিভাগের তিন জেলায় বিদ্যুৎ এলেও বিদ্যুৎহীন ময়মনসিংহ

বেলা দেড়টার দিকে আগুন লাগার পর থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ জেলা বাদে বাকি তিন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

ময়মনসিংহের গ্রিড উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার আগুন লাগেছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ নগরের কেওয়াটখালী এলাকায় অবস্থিত গ্রিড উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বেলা দেড়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ জেলা বাদে বাকি তিন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও কেওয়াটখালী গ্রিড উপকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বেলা দেড়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সময় অনেক দূর থেকে আগুনের শিখা দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ময়মনসিংহের গ্রিড উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার আগুন লাগে। আগুন নেভাতে কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ছবি: আনোয়ার হোসেন

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কথা বলে জানা যায়, এই গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আগুন লাগার কারণে বেলা দেড়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চার জেলাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে বিকেল পাঁচটা থেকে নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলছিল।

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস জানায়, মার্সেলিং বোর্ড নামের একটি যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

ময়মনসিংহের গ্রিড উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার আগুন লাগে। আগুন নেভাতে কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ছবি: আনোয়ার হোসেন

কেওয়াটখালী গ্রিড উপকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি দুর্ঘটনা। তবে এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা হবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।