ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে শিডিউল বিপর্যয়

ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে
ফাইল ছবি

ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। আর বিমান চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশায় আজ সোমবার সকালের চারটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকা-সৈয়দপুর আকাশপথে চলাচল করেনি। দৃষ্টিসীমা (ভিজিবিলিটি) কম থাকায় ওই বিপর্যয় ঘটছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত ৭ জানুয়ারি থেকে সৈয়দপুরের আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। ঘন কুয়াশার কারণে ভিজিবিলিটি কম হওয়ায় ওই দিন থেকে বিপর্যয় ঘটছে বিমান চলাচলে। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। আকাশপথে যাত্রীও অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে প্রতিদিন ১১টি উড়োজাহাজ চলাচল করে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি, ইউএস-বাংলার একটি ও নভোএয়ারের ৫টি ফ্লাইট। এসব এয়ারলাইনসের কোনো উড়োজাহাজ সকালে ফ্লাই করতে পারছে না। সকালে প্রতিদিন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সৈয়দপুর অঞ্চলের আকাশ। ভিজিবিলিটি কম থাকায় বিমানবন্দর টাওয়ার থেকে উড্ডয়ন-অবতরণের নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না।

বিমান চলাচলের জন্য আকাশে দৃষ্টিসীমা ১ হাজার ৮০০ থাকতে হয়। কিন্তু এখন প্রায়ই বেলা দুইটা পর্যন্ত আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার করণে বিঘ্ন ঘটছে উড়োজাহাজ চলাচলে। বেলা দুইটার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়। এই অবস্থায় এয়ারলাইনসগুলো সমন্বয় করে ফ্লাইট কমিয়ে দিয়ে সীমিত আকারে উড়োজাহাজ পরিচালনা করছে। এতে প্রতিদিন যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যাত্রী পরিবহনও অর্ধেকে নেমে এসেছে। সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে এয়ারলাইনসগুলো প্রতিদিন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এখন করছে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপলব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সকালে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের দুটি ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারেনি। বেলা দুইটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সৈয়দপুর অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে ভিজিবিলিটি এক হাজার হাজার মিটারে নেমে আসে। আরও দু-এক দিন এই পরিস্থিতি চলবে বলে তিনি জানান।