ঘরে ঝুলে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বজনের দাবি ‘হত্যা’

লাশ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে ছিল এক গৃহবধূর লাশ। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর নাম কুলসুম (২৫)। তিনি উপজেলার ১৬ নম্বর কাদিরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ারপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফের মেয়ে।

নিহত কুলসুমের মা আয়েশা আক্তার অভিযোগ করেন, কয়েক মাস ধরে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে তাঁর মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন জামাতা বাকের হোসেন। দুদিন আগেও মেয়ে বাড়িতে ফোন করে জামাতার চাপের কথা জানান। যৌতুক না দেওয়ায় তাঁর মেয়েকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কাদিরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক বলেন, তিন বছর আগে বাকের হোসেনের সঙ্গে কুলসুমের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে তাঁরা ইয়াপুর গ্রামের আমিন উল্যার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়িতে গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে কুলসুমের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাকের হোসেন পলাতক।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে লাশের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ শনিবার সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।