ঘরে স্ত্রীর লাশ রেখে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী

মাইনুদ্দীন
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় মাইনুদ্দীন (৩৬) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাইনুদ্দীন নিজেই আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় পীরগাছা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

মাইনুদ্দীনের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। ব্যবসায়িক কারণে দীর্ঘদিন ধরে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছেন তিনি। তাঁর নিহত স্ত্রীর নাম আয়শা বেগম (৩৬)।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাইনুদ্দীন পুলিশের কাছে আটক আছেন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে আসামিকে নিয়ে অভিযান চালানো হবে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রী আয়শা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ মাইনুদ্দীনের। এ কারণে তাঁদের সংসারে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে নিজ শয়নকক্ষে আয়শা বেগমকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র শাবল ও কুড়াল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন মাইনুদ্দীন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করেন মাইনুদ্দীন। মরদেহ ঘরের মধ্যে রেখে সকাল সাতটার দিকে থানায় গিয়ে স্ত্রী হত্যার কথা জানান।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, মাইনুদ্দীনরা সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ২৯ মে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি পীরগাছায় ফিরে আসেন। এরই মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের খবর নিয়ে মাইনুদ্দীন ও আয়শার মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছায়।

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেশ চন্দ্র বলেন, হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।