ঘাট ও রাস্তার ইট গেছে ইউপি সদস্যের বাড়িতে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ম্যাপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ইয়াছিন মিয়া নামের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পুকুরের ঘাটলা ও রাস্তার ইট তুলে নিয়ে নিজের পাকা ভবন তৈরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে ইট আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে প্রশাসন।

ইয়াছিন মিয়া উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (চান্দেরপাড়া) সদস্য। তাঁর ইট চুরি নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি মো. আলাউদ্দিন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনও অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা এলজিইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার চান্দেরপাড়া গ্রামের স্থানীয় লোকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইট চুরির অভিযোগে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বলা হয়, এলজিইডির সরকারি রাস্তার পাঁচ লাখ ও মসজিদের ঘাটলার আড়াই লাখ টাকার ইট চুরি করে নিজের বসতবাড়ির ভবন ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীরে ব্যবহার করেছেন ইউপি সদস্য।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া গ্রামের কোনাবাড়ি জামে মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশে পুকুরে মুসল্লিদের ওজু করার সুবিধার্থে একটি ঘাটলা নির্মাণ করা হয়। এর কিছুদিন পর ইউপি সদস্য ইয়াছিন মিয়া পুকুরের ঘাটলার সব ইট খুলে নিয়ে যান। সেসব ইট তিনি নিজের পাকা ভবনের কাজে ব্যবহার করেন। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে ইউপি সদস্য নতুন করে আরেকটি ঘাটলা তৈরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু দুই বছর কেটে গেলেও তা আর হয়নি।

কোনাবাড়ি জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার ফজলুল হক বলেন, ইয়াছিন শুধু মসজিদের ঘাটলার ইট চুরি করেননি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মসজিদের পাশে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য এলজিইডির দুইটি প্রকল্পের পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে রাস্তায় ইট বসান। কিছুদিন পরই রাস্তার সব ইট তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ইউপি সদস্য। বাধা দিলে তিনি মামলার হুমকি দেন।

ইউপি সদস্য ইয়াছিন মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি পুকুর ও রাস্তার ইট নিজের বাড়ির কাজে ব্যবহার করিনি।’

ইউএনও নাজমা আশরাফী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য এলজিইডিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন। ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।