চট্টগ্রাম মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা চার দিন পর আজ রোববার তাঁদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন।

কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আজ দুপুরে তাঁদের কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে গত বুধবার ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন।

এর আগে গত বুধবার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে একদফা বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁরা তাঁদের দাবি ও কর্মসূচিতে অনড় ছিলেন। ফলে সেদিন থেকে কর্মবিরতি চলছিল। আজ বৈঠকের পর দুপুরের দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি স্থগিত করেন। তাঁরা ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চমেকের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তিন দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছি। এর মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আবার কর্মবিরতিতে যাব।’

গত মঙ্গলবার রাতে চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও আছেন বলে জানা যায়।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। ঘটনা তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

চমেক হাসপাতালে তিন শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের প্রায় ৪০ জন। এ ছাড়া চমেক ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরাও রয়েছেন।