চট্টগ্রামে পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীর ঢল, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানায়

ঈদুল আজহার ছুটিতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে হাজারো মানুষের ঢল। চট্টগ্রাম, ১১ জুলাইছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রামের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাঁরা আসছেন এসব কেন্দ্রে। তবে তাঁদের মধ্যে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শৈথিল্য লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে সমুদ্রসৈকতে এ দৃশ্য বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ শতাংশের ওপরে। ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জন শনাক্ত হয়। এ সময়ে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীতে করোনা শনাক্তের হার ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ (নমুনা সংগ্রহ ৩ হাজার ১৯৩, শনাক্ত ৪১২)।

সোমবার বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সৈকতের নানা প্রান্তে সময় কাটাচ্ছেন। খোশগল্পে মজে আছেন। তবে বেশির ভাগই মাস্ক পরেননি।

মাস্ক না পরার বিষয়ে দর্শনার্থীরা নানা অজুহাত দিচ্ছেন। মো. ওমর ফারুক নামের একজন বলেন, মাস্ক আনতে তিনি ভুলে গেছেন। পতেঙ্গা সৈকতে গল্প করছিলেন চার বন্ধু। তাঁদের একজন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, মাস্ক এনেছিলেন ঠিকই, তবে এটি ছিঁড়ে গেছে। অবশ্য এই চারজনের কারও মুখেই মাস্ক ছিল না।

সোমবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সৈকতের নানা প্রান্ত ঘুরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের কোনো কর্মতৎপরতা চোখে পড়েনি।

একই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম শিশুপার্ক ও কাজীর দেউড়ির শিশুপার্কে। দর্শনার্থীর ভিড় থাকলেও কারও মুখে মাস্ক ছিল না।

জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সৈকত পুরোটাই মোটামুটি উন্মুক্ত। কোথাও গেট নেই। এ কারণে অসংখ্য মানুষ ঢুকছেন। তাই মাস্ক পরার বিষয়ে কার্যকরভাবে কিছু করা যাচ্ছে না।