চবির সাবেক ছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক সাবেক ছাত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা করেছেন চবির সাবেক ওই ছাত্রী।

মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তানজিনা সুলতানা। চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্রী তানজিনা বলেন, ছয় মাস আগে তাঁর বাবা মারা যান। স্থানীয় আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সিকদার দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের কিছু জমি ও বসতঘর দখল করার হুমকি দেন। এমনকি জালিয়াতি করে একটি ভুয়া ওয়ারিশ সনদও তৈরি করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা করেন তানজিনা। মামলার পর হুমকি আরও বেড়ে যায়। ওই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন তানজিনার প্রতিবেশী শাহজাহান সিকদার।

সংবাদ সম্মেলনে তানজিনা অভিযোগ করেন, মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর সহযোগীরা শাহজাহান সিকদারকে মারধর করেন। ঘটনার পরে তিনি ও শাহজাহান সিকদারের স্ত্রী থানায় অভিযোগ করতে যান। যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর সহযোগীরা পথরোধ করে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় তানজিনা কুতুবদিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে কুতুবদিয়ার জুডিশিয়াল হাকিমের আদালতে মামলা করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, তানজিনার সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা নেই। জায়গা-জমি দখলে নেওয়ার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। এরকম কোনো কিছুর সঙ্গে তিনি জড়িত নন। আর তানজিনাকে মারধরও করা হয়নি। কিছু প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে তানজিনা ষড়যন্ত্র করছেন। জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি আইনজীবীর চেম্বারে ছিলেন। তানজিনা সেখানে গিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার প্রথম আলোকে বলেন দুই পক্ষই আদালতে মামলা করেছেন। তানজিনার মামলাটি আদালতের নির্দেশে তাঁরা তদন্ত করছেন। আর জাহাঙ্গীর আলমের মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।