চরফ্যাশনে ইউএনওর অভিযানের পর ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

মাস্ক ও ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় ভোলার চরফ্যাশন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৪ ব্যবসায়ীর জরিমানা ও ২ জনকে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনার পর ‘ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা’ ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাস্ক ও ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় বাজারের ১৪ ব্যবসায়ীর ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পরপরই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ইউএনওর অপসারণের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেন।

চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনির উদ্দিন চাষির অভিযোগ, ইউএনও ‘উপজেলা প্রশাসন চরফ্যাশন, ভোলা’ নামে তাঁর দাপ্তরিক ফেসবুকে দুই দিন আগে লিখেছেন, ১০ দিনের মধ্যে উপজেলার সব ব্যবসায়ীকে ভোলা জেলা প্রশাসকের বিচার শাখা থেকে (ডিসি অফিস) ডিলিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। অথচ মাত্র দুই দিনের মাথায় তিনি (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও আটক করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে আটক ব্যবসায়ীদের মুক্তি ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের অত্যাবশ্যকীয় দ্রবাদি নিয়ন্ত্রণ আদেশের বিধান অনুযায়ী তফসিলভুক্ত পণ্যের ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ীদের জেলা প্রশাসন থেকে ডিলিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।

ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দাবি, গত দেড় বছর আগ থেকে চরফ্যাশন বাজারের ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য বলে এলেও তাঁরা করেননি। ২ দিন আগে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার জন্য ফেসবুকের মাধ্যমে ডিলিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হবে না, অভিযান চলবে না, তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

ইউএনও আরও বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে উপজেলার সব ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। আর চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ীদের অনেক আগ থেকে লাইসেন্স গ্রহণের জন্য বলা হচ্ছে। সে কারণে মাস্ক ও ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় চরফ্যাশন বাজারে অভিযান ও ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে।