চলছে দূরপাল্লার বাস, বাড়ছে যানবাহন

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস। মহাসড়কের কুর্ণী এলাকা, মির্জাপুর, ১৭ মে সকাল সোয়া নয়টা
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার ও গতকাল রোববারের তুলনায় আজ সোমবার তা দ্বিগুণ হয়েছে। আজ সকাল সাতটা ও সাড়ে আটটার দিকে দুবার মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় অবস্থান করে এ চিত্র জানা গেছে।

ঈদের তিন থেকে চার দিন আগে মহাসড়কে উত্তরাঞ্চলগামী যে পরিমাণ ট্রাক, পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করেছে, আজ সে তুলনায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেশি। এর মধ্যে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসসহ উভয়মুখী বাস চলাচলও বাড়ছে। তবে মানুষ মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে বেশি যাচ্ছে।

সকাল সাতটার দিকে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় ১৫ মিনিট অবস্থান করে দেখা যায়, গড়ে প্রতি মিনিটে মোটরসাইকেলসহ পাঁচ থেকে সাতটি যানবাহন চলছে। বাসের সংখ্যা গড়ে প্রতি মিনিটে একটি ছিল।

সাড়ে আটটার দিকে মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকা প্রায় ৪০ মিনিট ঘুরে দেখা গেছে, গড়ে প্রতি মিনিটে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১৫টি যানবাহন চলছে। আর দূরপাল্লার বাসের চলাচল প্রতি মিনিটে দু-তিনটি। এর মধ্যে ঢাকা শহরের চলাচলকারী মোহনা পরিবহনসহ কয়েকটি বাস ছিল।

রংপুরগামী ডিকে এন্টারপ্রাইজের চালক মো. সিরাজুল ইসলাম মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দূরপাল্লার বাস চলাচল নিষেধ। আপনি কীভাবে বাস চালাচ্ছেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ছাইরা দিছে। আর বাস চালিয়া কী হইবো। যাত্রী নাই। ইনকাম নাই।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে হাইএইচ মাইক্রোবাসে ১১ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়ায় গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন চালক শাহ আলম মিয়া। একই স্থানে তিনিও যাত্রী তুলছিলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন পর একটা ট্রিপ মারছি। রাতে এসেছিলাম। এখন ফিরছি। ফেরার পথে কিছু টাকার জন্য যাত্রী খুঁজছি।’

টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী দ্রুতগামী পরিবহনের চালক আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমাগো চন্দ্রার ওপার যাইতে দেয় না। জেলার বাস চালাই। জেলার যাত্রী নাই। তেলের খরচই ওঠে না। আমরা চলুম ক্যামনে। পরিবারের লোকজন চালামো কী কইরা। ঈদ গ্যালো দুই দিন। তাও যাত্রী পাই না।’

স্থানীয় শ্রমিক রিপন মিয়া জানান, মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা গত দুদিনের চেয়ে বেশি। যাত্রীও বাড়বে। তবে একটু সময় লাগবে।

মির্জাপুর ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে আমরা কাজ শুরু করেছি। জেলার বাস চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাস খুব একটা চলছে না। রাস্তায় যানবাহন কিছুটা বাড়ছে।’