চা-বাগান এলাকার শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফসহ চার দাবি

শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘চা-বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’। জিন্দাবাজার এলাকা, সিলেট, ১৯ আগস্টছবি: প্রথম আলো

কারোনাকাল বিবেচনায় চলতি বছরের বেতন মওকুফসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন সিলেট অঞ্চলের চা-বাগান এলাকার শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে নগরীর সিটি পয়েন্টে ‘চা-বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’–এর ব্যানারে সমাবেশ করে এসব দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চা–বাগানের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি মওকুফ ও অনলাইন ক্লাস বন্ধ করা, বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি ও নতুন চুক্তি সম্পাদন এবং শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।

পরিষদটির সংগঠক অধীর বাউরী সভাপতিত্বে ও রানা বাউরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন সঞ্জয় কান্ত দাস, আনহাফ আহমেদ, সিটুন বাউরী, বাদল বাউরী, উজ্জ্বল বুর্নাজী, সঞ্জীত বাউরী।

এর আগে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল সিটি পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের সব কটি সেক্টরে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হলেও চা–বাগানে কাজ চলেছে। অথচ তাঁদের কোনো ঝুঁকি ভাতা সরকার দেয়নি; বরং কালিটি, রেমা, ধলই চা-বাগান অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেন মালিকেরা।

বক্তারা আরও বলেন, করোনায় জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও চা–শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি। চা–বাগানের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই চলতি বছরের বেতন ফি দিয়ে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম। এই প্রক্রিয়ায় বর্তমান সময়ে নির্ধারিত ফি দিয়ে চা-বাগানের শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না। প্রযুক্তিগত সুবিধা না থাকায় চা-বাগানগুলোতে কোনোভাবেই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করাও সম্ভব নয়। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে চা-বাগানের শিক্ষার্থীদের চলতি শিক্ষাবর্ষের বেতন ও একাদশ শ্রেণির ভর্তি ফি মওকুফ করার পাশাপাশি চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বে চা-শ্রমিক পরিবার।