যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা ও সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রকাশের ঘটনায় কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে মেয়র রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে যশোরের একটি আদালতে এই মামলা করেন।
মামলায় যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজ–এর সম্পাদক মবিনুল ইসলাম ও কেশবপুরের বাসিন্দা খন্দকার মফিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম কুমার মল্লিক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে কেশবপুর পৌরসভায় দুইবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামি মফিদুল ইসলাম মেয়র রফিকুলের সম্মানহানির জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি মফিদুল ইসলাম মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ গ্রামের কাগজ–এ প্রকাশ করে মেয়রের সম্মানহানি করা হয়েছে, যা মেয়র নিজেসহ অন্যরা দেখে বিস্মিত হন। এতে মেয়রের এক কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামি মফিদুল ইসলাম মেয়র রফিকুলের সম্মানহানির জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এতে মেয়রের এক কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করেছিলেন মফিদুল ইসলাম। এতে তিনি মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ও ডিশ ব্যবসা দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশ করায় এই মামলা করেন মেয়র।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে সম্মান নষ্ট করেছে। যে কারণে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছি।’
এদিকে ৩০ আগস্ট কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ ৭ জনের নামে চাঁদাবাজি, চেক ছিনতাই ও জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়।