চাঁদাবাজির প্রতিবাদে হবিগঞ্জে সড়ক অবরোধ

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে হবিগঞ্জ শহরে অটোরিকশাচালক-শ্রমিকেরা আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনের সড়কেপ্রথম আলো

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে অটোরিকশা রেখে অবরোধ করেছেন অটোরিকশাচালক সমিতির লোকজন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধের কারণে শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সড়ক অবরোধ করে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করে অটোরিকশাচালক সমিতি। তবে মেয়র মিজানুর রহমানের দাবি, ওই সমিতির সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতাছিরুল ইসলাম চালক-শ্রমিকদের তাঁর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল ১০টার দিকে হবিগঞ্জ অটোরিকশাচালক (সিএনজিচালিত) সমিতির লোকজন শহরের প্রধান সড়কের মডেল থানার সামনে অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীরা সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি অটোরিকশা রেখে প্রতিবাদ সভা করেন। এ সময় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের সড়ক, জেলা পরিষদ, সার্কিট হাউস সড়কসহ পুরো জেলা সদরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে চলাচলকারী জনগণকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র মিজানুর রহমান সমিতির কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার চাঁদা দাবি করে আসছেন। তাঁর এই দাবি না মানায় তিনি ও তাঁর লোকজন সকাল থেকে তাঁদের উমেদনগর অটোরিকশাস্ট্যান্ডটি দখল করে নেন। যে কারণে সব অটোরিকশার চালকেরা প্রতিবাদে নেমে সড়ক অবরোধ করেন।

পাল্টা অভিযোগ তুলে মেয়র মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম উমেদনগর অটোরিকশার স্ট্যান্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এই স্ট্যান্ড থেকে প্রতি মাসে তাঁকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় চালকদের। তিনি আরও বলেন, ‘উমেদনগর স্ট্যান্ডটি আমার এলাকায় হওয়ার কারণে স্থানীয় চালক-শ্রমিকেরা আমার সহযোগিতা চান। আমি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চালকদের আমার পেছনে লেলিয়ে দেন এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।’

হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, শহরের উমেদনগর স্ট্যান্ড দখল নিয়ে চালকদের মধ্যে উত্তেজনা থেকে এই অবরোধ করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।