চান্দিনায় ইভিএমে ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ

কুমিল্লার চান্দিনায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে এসেছেন এক ভোটার। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বড় গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবার ইভিএম (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া ৯ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জগ প্রতীকের মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট। গতকাল শনিবার এই ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আলমগীর খান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের কাজী রেজাউল করিম পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) ছাতা প্রতীকের জামশেদ আহম্মদ পান ১৮৯ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনে ৩১ হাজার ৮৪৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৬ হাজার ৪৯৩ জন। এর মধ্যে ভোট বাতিল হয় ৫৯টি। বৈধ ভোট ১৬ হাজার ৪৩৪টি। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৯২টি কক্ষে একটানা ইভিএমে ভোট হয়। ইভিএমে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশের ওপরে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও হাঙ্গামা ছাড়াই ইভিএমে জয়ী হতে পেরেছি। ইভিএম ভোট গ্রহণের ভালো পদ্ধতি।’

তবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. আলমগীর খান বলেন, ইভিএমে এক প্রতীকে টিপ দিলে আরেক প্রতীকে চলে যায়। ইভিএম কোনো ভালো পদ্ধতি নয়। ইভিএমের কারণে তিনি প্রত্যাশিত ফল পাননি।