চা–বিক্রেতা হারুনকে শুভেচ্ছা জানাতে গৌরীপুরে বাউবির প্রতিনিধিদল

চা–বিক্রেতা হারুন মিয়াকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল। আজ সকালে গৌরীপুর মহিলা কলেজে
ছবি: প্রথম আলো

চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস করা হারুন মিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় গৌরীপুর মহিলা কলেজে তাঁরা হারুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা হারুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পড়াশোনায় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রতিনিধিদলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাকছুদা জাহান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন সদস্য ছিলেন। হারুন এবার গৌরীপুর মহিলা কলেজে পরিচালিত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক কোর্সে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, গত রোববার প্রথম আলোয় হারুনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতারের নজরে আসে। তাঁর নির্দেশে আজ তাঁরা হারুনকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। পড়াশোনার প্রতি হারুনের আগ্রহ সারা দেশে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়া তরুণদের জন্য একজন দৃষ্টান্ত হারুন।

হারুনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সতিষা গ্রামে। ছয় ভাইবোনের সংসারে অভাব-অনটনের জন্য মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই পড়াশোনা ছেড়ে চায়ের দোকান দেন। ২০১৯ সালে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি কোর্সে ভর্তি হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই কোর্সের পরীক্ষায় পাস করেন হারুন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি পড়াশোনা করে হারুনের এসএসসি পাসের খবর প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়। পরে ‘বন্ধুরা পড়বে আর আমি চা বিক্রি করব, মেনে নিতে কষ্ট হতো’ শিরোনামে হারুনের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে একটি প্রতিনিধিদল হারুনের সঙ্গে দেখা করেন।

হারুন মিয়া আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম আলোতে সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর অনেকেই আমার খোঁজখবর নিচ্ছেন। অনেকেই দেখা করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এটা আমার জন্য খুব উৎসাহব্যঞ্জক। আমি পড়াশোনা করে আরও এগিয়ে যেতে চাই।’