চার ইউপিতে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হতে চলেছেন আ.লীগের প্রার্থীরা

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের তিন ইউনিয়ন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি  ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে ওই চার ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামী লিগের প্রার্থীরা একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতেই চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামাবাদ, ফতেপুর পশ্চিম ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

ইসলামাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সরকার। তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল হকের ভাতিজা। এদিকে দুর্গাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোকাররম হোসেন খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মোকাররম কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ছোট ভাই। ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুলের ছোট ভাই।

এদিকে মতলব দক্ষিণের চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন। তবে উপাদী উত্তর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শহিদ উল্লাহ প্রধান একক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই চার ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের দাপটে এসব ইউনিয়নে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য কেউ চেয়াররম্যান প্রার্থী হননি বা হতে চাননি। এতে তৃণমূল পর্যায়ে যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীরা তাঁদের প্রাপ্য পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোট ছাড়াই এসব প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এতে ভোটাররা আরও নিরুৎসাহিত হবেন বলে মনে করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ দাবি করেন তিনি তাঁর যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিয়েই মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্য কাউকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকারের বাধা দেওয়া হয়নি।

এদিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সরকার বলেন, ‘মনোনয়নপ্রাপ্তি বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব খাটানো হয়নি। দল আমাকে যোগ্য মনে করেই মনোনয়ন দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অন্য কেউ প্রার্থী না হলে আমার কী করার আছে!’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, ১১ নভেম্বরের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হলে ওই চার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তবে সেখানে সদস্যপদে যথাসময়ে ভোট গ্রহণ হবে।