চার পরিবহনশ্রমিককে আটকের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

অবরোধের কারণে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। আজ রোববার দুপুরে।
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চার পরিবহনশ্রমিককে আটকের প্রতিবাদে আজ রোববার সিলেট সদর উপজেলার মদনপুর এলাকা সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। পরে র‍্যাব ও পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। এ সময় সড়কের দুদিকে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহান।

র‍্যাবের সুনামগঞ্জ কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে র‍্যাবের একটি দল সুনামগঞ্জ থেকে ছাতকের দিকে যাচ্ছিল। পথে ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার নামক স্থানের সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে র‍্যাব সদস্যদের বহনকারী গাড়িটিকে বারবার পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল যাত্রীবাসী একটি বাস। একপর্যায়ে র‍্যাব সদস্যরা ওই বাসকে আটকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে চালক ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিচয় জেনেও তখন ওই বাসের চালক ও শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে বাসের চারজন শ্রমিককে র‍্যাবের সুনামগঞ্জ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এর প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টার দিকে মদনপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এ সময় সড়কের দুদিকে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে সুনামগঞ্জ শহর থেকে পুলিশ ও র‍্যাব গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাসননগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, তিনি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাচ্ছিলেন। আজ বেলা ১১টার দিকে মদনপুর এলাকায় গিয়ে দেখেন দুদিকে শত শত যানবাহন আটকে আছে। প্রায় দুই ঘণ্টা তাঁরা সেখানে আটকে ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গরমে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহান।

সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। আসলে সেখানে কী হয়েছিল, সেটি খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করছি।’

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘পরিবহনশ্রমিকেরা আমাদের জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ তুলে চারজন শ্রমিককে র‍্যাব আটক করেছে। এ কারণে নাকি শ্রমিকেরা সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করেছেন। এ বেশি কিছু জানি না। এতে আমাদের করার কিছু নেই।’

র‍্যাবের সুনামগঞ্জ কোম্পানির (সিপিসি-৩) কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ রাসেল বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা ক্যাম্পে আছেন। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ও র‍্যাব সেখানে গিয়ে সেটি তুলে দিয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো শ্রমিককে পাওয়া যায়নি। পরে সেখানে যানজটে আটকে থাকা যানবাহনগুলোর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে।