চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের অনুষ্ঠান করে ক্ষমা চাইলেন আয়োজকেরা

একটি নৌভ্রমণের আয়োজন করা হয়। এর অংশ হিসেবে চিত্রনায়িকা মুনমুনকে নাচের জন্য নিয়ে যান আয়োজকেরা। নৌভ্রমণ শেষে নাচের অনুষ্ঠান হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে আয়োজকেরা ক্ষমা চান।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্ষমা চেয়েছেন আয়োজক কমিটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে সমালোচনার জেরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এমনটা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে সখীপুর উপজেলা মাইক্রোবাস মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে গঠিত আল মদিনা সমবায় সমিতির উদ্যোগে নৌভ্রমণের আয়োজন করা হয়। এর অংশ হিসেবে চিত্রনায়িকা মুনমুনকে নাচের জন্য নিয়ে যান আয়োজকেরা। নৌভ্রমণ শেষে উপজেলার পলাশতলী বাজারে মসজিদের পাশে মুনমুনের নাচের অনুষ্ঠান হয়। ওই নাচের ভিডিও কেউ একজন ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেন। সেখান থেকে ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, মসজিদের পাশে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের অনুষ্ঠানের প্রতিবাদে উপজেলা ওলামা পরিষদ ও উপজেলা ইমাম সমিতি মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে আয়োজক কমিটি সোমবার রাতে ওলামা পরিষদের কাছে ক্ষমা চান। উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদে ওলামা পরিষদের নেতারা তাঁদের তওবা পড়ান। তওবা পড়ার সময় আয়োজক কমিটির ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আমরা অনুতপ্ত। আমরা তওবা পড়েছি।
মো. স্বপন, আয়োজক কমিটির প্রধান

নৌভ্রমণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন সখীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শফিউল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নৌকা ভ্রমণে যাইনি। তবে আয়োজকদের আমন্ত্রণে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পলাশতলী গিয়েছিলাম। নাচের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, পরে শুনেছি। তবে আয়োজকদের মসজিদের পাশে নাচের অনুষ্ঠান করা ঠিক হয়নি। এ জন্য আয়োজকেরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে তওবা পড়েছেন।’

মসজিদের পাশে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের অনুষ্ঠানের প্রতিবাদে উপজেলা ওলামা পরিষদ ও উপজেলা ইমাম সমিতি মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে আয়োজক কমিটি ক্ষমা চান।
স্থানীয়দের ভাষ্য

আল মদিনা সমবায় সমিতি ও উপজেলা মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. স্বপন মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা অনুতপ্ত। আমরা তওবা পড়েছি। মসজিদ কমিটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পলাশতলী বাজার মসজিদের সংস্কারের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’

উপজেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সাইফুল্লাহ বেলালী বলেন, ‘আয়োজক কমিটির সদস্যরা ভুল স্বীকার করে তওবা পড়েছেন। তাঁরা ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।’