চিনিকল বন্ধ নয়, আধুনিকীকরণ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আরাজিগাইঘাটা এলাকায় সারের বাফার গুদাম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী
প্রথম আলো

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ১৬টি চিনিকলকে বন্ধ নয়, আধুনিকীকরণ করা হবে। চিনিকলগুলোতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আরাজিগাইঘাটা এলাকায় সারের বাফার গুদাম উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৬টি চিনিকল আছে। এর আগে বিভিন্ন সরকার এসে লুটপাট করে খেয়ে গেছে। চিনিকলগুলোর কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা সেগুলো নষ্ট করেছে, শ্রমিকদের অকর্ম করে ফেলেছে। আজকে চিনিকলগুলো সব লোকসানি। তিনি বলেন, চিনিকলগুলো পুরোনো হয়ে গেছে। এখন মাত্র তিন মাস চলে। এই তিন মাসের আয় দিয়ে সারা বছর সংসার চালানো যায় না।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, চিনিকলের শ্রমিক এবং ইক্ষুচাষি যাঁরা আছেন, তাঁদের কীভাবে উন্নত জীবনে নিতে পারি, তাঁদের আয়ের উৎস কীভাবে বাড়াতে পারি, সেই সঙ্গে চিনিকলগুলোর যে বিশাল সম্পদ আছে, সেগুলো কীভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারি, সে জন্যই আমরা দেশে ও বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’

চিনিকলগুলোতে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থার জন্য অনেক বিদেশি উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করার জন্য আসছেন। তাঁদের কাছ থেকে চিনিকলগুলোতে পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব আসছে। আমরা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। আমরা শ্রমিকদের কর্মহীন না করে আরও কর্মসংস্থানের জন্য চিনিকলগুলোকে আধুনিকীকরণ করছি।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পমন্ত্রী

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত ও পঞ্চগড় সার ডিলার সমিতির সভাপতি হান্নান শেখ বক্তব্য দেন।

কৃষিপ্রধান পঞ্চগড় জেলার কৃষকদের মধ্যে সময়মতো সার সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউরিয়া সারের মজুত রাখার জন্য জেলার বোদা উপজেলার আরাজিগাইঘাটা এলাকায় বাফার গুদামটি নির্মাণ করা হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় চার একর জমির ওপর এই বাফার গুদামটি নির্মাণ করা হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থা চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ১০ হাজার মেট্রিক টন সার ধারণক্ষমতার এই বাফার গুদামটির নির্মাণকাজ শেষ করে।