চিপসের প্যাকেটে শিশুদের জন্য উপহার হাজার টাকার নকল নোট

বগুড়ার আদমদীঘির হাটবাজারের দোকানে চিপসের প্যাকেটে পাওয়া এক হাজার টাকার নকল টাকা
প্রথম আলো

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গ্রামগঞ্জের মুদিদোকানে চিপসের প্যাকেটে মিলছে হাজার টাকার নকল নোট। এসব নোটের আকার–আকৃতি, রং, জলছাপ, ক্রমিক নম্বর, গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বা আতিউর রহমানের নামযুক্ত স্বাক্ষরসহ আসল নোটের মতোই অবিকল। শুধু টাকার দুই পাশে লাল কালি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘খেলনা টাকার নমুনা’।

আসল নোটের কাগজের চেয়ে এই খেলনা টাকা দাবি করা নোটে ব্যবহার করা হয়েছে একটু মোটা কাগজ। টাকার লাল অংশের নিচে ছোট করে চিপস তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নুর প্রোডাক্টসের নাম লেখা রয়েছে। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বাজারের স্কুল ও মাদ্রাসার আশপাশের দোকানে ‘টিকটক’ নামের চিপসের প্যাকেটে এই টাকা মিলছে বলে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে।

সরেজমিন আজ সোমবার ছাত্রছাত্রীদের হাতে হাতে চিপসের প্যাকেটে পাওয়া এই নকল টাকা দেখা গেছে। চিপসের প্যাকেটে এ ধরনের টাকা মেলায় শিক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে ওই কোম্পানির চিপস কিনছে। তবে দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে নুর প্রোডাক্টসের টিকটক চিপস পাওয়া যায়নি। দোকানিরা বলছেন, ব্যাপক চাহিদা থাকায় চিপসগুলো শেষ হয়ে গেছে। সামনের চালান এলে আবার পাওয়া যাবে।

‘টিকটক’ নামের চিপসের প্যাকেটে এই নকল টাকা উপহার দিচ্ছে নুর প্রোডাক্টস নামের একটি কোম্পানি।
চিপসের প্যাকেটে শিশুদের জন্য নকল টাকা উপহার দিচ্ছে নুর প্রোডাক্টসের নামের চিপস তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান
প্রথম আলো

তবে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠতে থাকায় দোকানিরা হয়তো ওই কোম্পানির চিপস দোকান থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। সান্তাহার মহিলা কলেজের প্রভাষক আবদুল মতিন, সাংবাদিক মিহির কুমারসহ কয়েকজন বলেন, তাঁরা এক হাজার টাকার নকল এসব নোট দেখেছেন, যা দেখতে অবিকল আসল টাকার মতো। এটি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, চিপসের প্যাকেটে দেওয়া নকল টাকা তাঁরা দেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং এটি কীভাবে বাজারে এল, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।