চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পথে ট্রেন চলবে ২৬ মার্চ: রেলমন্ত্রী

নীলফামারীর চিলাহাটিতে শুক্রবার বিকেলে রেললাইনের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলামপ্রথম আলো

বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী পথে আগামী বছরের ২৬ মার্চ রেল যোগাযোগ শুরু হবে। রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম এ কথা জানান। শুক্রবার বিকেলে নীলফামারীর চিলাহাটিতে এ রেললাইনের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২৬ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পথে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন। করোনা মহামারি শেষ হলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেটি উদ্বোধন করা হবে। তবে তা সম্ভব না হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে।

ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার, রেলসচিব মো. সেলিম রেজা, পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, চিলাহাটি রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা আকতার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান সিহাব প্রমুখ।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের আগেই বাংলাদেশ অংশের রেললাইনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। এটি উদ্বোধনের জন্য আমরা প্রস্তুত থাকব। ভারতের অংশে যেটুকু বাকি আছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হবে।’

অবিভক্ত ভারতের রেল যোগাযোগের এটিই প্রধান পথ ছিল। দেশ ভাগ হওয়ার পরও ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এটি চালু ছিল। কলকাতা থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল করত। সেই রেল যোগাযোগ ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।
এসব তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, তারই ফলে এ রেলপথ পুনরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকল্পটি অনেকটা চলমান। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতায় কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ অংশে মাত্র দেড় কিলোমিটারের নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। সেটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইনসহ বাংলাদেশ অংশে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।