চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মুঠোফোন চুরির অভিযোগে আশিক জোমাদ্দার (২২) নামের এক তরুণকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  

২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মোরেলগঞ্জের চিংড়াখালী ইউনিয়নের বড় জামুয়া গ্রামে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে ওই নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

মোরেলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশ আশিককে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি আশিক বাদী হয়ে থানায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আশিক জোমাদ্দারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চরনি পত্তাশি গ্রামে।

আহত আশিক এখন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। নির্যাতনের চার দিন পার হলেও পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি মুঠোফোন চুরির অভিযোগে আশিক জোমাদ্দারকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের বড় জামুয়া গ্রামে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তাঁর সহযোগীরা।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মীর মো. সাফিন মাহমুদ বলেন, নির্যাতনের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশিককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তাঁর সহযোগীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।