চুল কাটিয়ে, গোসল করিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে ও পরে শরীফ আলী
ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর আগে নিখোঁজ হন শরীফ আলী। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ঘুরছিলেন তিনি। তাঁর পরিচয় পেতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরে পাওয়া যায় তাঁর পরিচয়। চুল কাটিয়ে, গোসল করিয়ে পরিপাটি করে শনিবার তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শরীফ (২২) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পংদারীকেল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।

শনিবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে শরীফকে বাবা খোরশেদ আলীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম, অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শেখ সরোয়ার জাহান, আমরা স্বেচ্ছায় রক্ত দিই নামের সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো. ইমু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ছেলে শরীফ আলীকে (বসা) ফিরে পেয়ে আনন্দিত বাবা খোরশেদ আলম। আজ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে
ছবি: সংগৃহীত

অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শেখ সরোয়ার জাহান বলেন, শ্রীমঙ্গল ক্যাবল সিস্টেমের ভাইস চেয়ারম্যান পার্থ সারথি দাশ লাউয়াছড়া বনে শরীফকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় পান। তিনি গত সোমবার ফেসবুকে শরীফের পরিচয় জানতে চেয়ে পোস্ট দেন।

শরীফ শুধু জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহে। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শেখ সরোয়ার জাহান, সভাপতি, অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদ, শ্রীমঙ্গল

সারোয়ার বলেন, ‘পোস্টটি আমার ও শ্রীমঙ্গলের তরুণ সমাজকর্মীদের নজরে আসে। আমি তখন বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নাঈম ও আকাশসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই, লোকটির জন্য কিছু করার। বৃহস্পতিবার আমরা শরীফকে উদ্ধার করে চুল-দাঁড়ি কাটাই, গোসল করাই ও নতুন পোশাক পরাই। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এনে রাখি। আমরা তাঁর ঠিকানা জানতে ফেসবুকে প্রচারণা চালাই।’

সারোয়ার আরও বলেন, ‘শরীফ শুধু জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহে। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা আজ তাঁকে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করি। তাঁর চিকিৎসার জন্য নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হয়েছে।’