চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও আলোকদিয়া ইউনিয়নে সাত দিনের লকডাউন

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পর এবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নে সাত দিনের জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। আজ শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও জেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া আফরিন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন।

এর আগে ১৫ জুন থেকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ জুন থেকে জীবননগর উপজেলাকে বিশেষ বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও পাশের আলোকদিয়া ইউনিয়নে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ক্রমেই বেড়ে চলায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। লকডাউন চলাকালে অভ্যন্তরীণ ও আন্তজেলা পথে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। নিত্যপণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত খোলা থাকলেও বাকি সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সেখানে বসে খাওয়া যাবে না, খাবার পার্সেলে নিতে হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করবে। ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে টার্মিনালে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে, শহরের ভেতরে কোথাও যাত্রী ওঠাতে বা নামাতে পারবে না। লকডাউন চলাকালে জেলার সব পশুহাট বন্ধ থাকবে।

এর আগে ১৫ জুন থেকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ জুন থেকে জীবননগর উপজেলাকে বিশেষ বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।