চুয়াডাঙ্গায় ভটভটি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ইটবাহী আলমসাধু (ভটভটি) ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। এ সময় আলমসাধুর চালকসহ আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার হাতিকাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের কাপড়ের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মাসুম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী লিভা খাতুন (২৫)। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন আলমসাধুর চালক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর গ্রামের বাসিন্দা সজীব হোসেন (১৪) ও হাতিকাটা গ্রামের চায়ের দোকানদার ছেলুন মোল্লা (৪০)।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার হাতিকাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আবদুল্লাহ আল মাসুম তাঁর স্ত্রী লিভা খাতুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গায় কাজে গিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে হাতিকাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটভর্তি একটি আলমসাধুর সঙ্গে তাঁদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের চালকের আসনে থাকা আবদুল্লাহ আল মাসুম ও পেছনে বসা তাঁর স্ত্রী লিভা খাতুন রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলমসাধুটি রাস্তার পাশে একটি দোকানের ভেতর ঢুকে পড়লে দোকানমালিক ছেলুন মোল্লা ও আলমসাধুচালক সজীবও আহত হন।

এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুজ্জামান আবদুল্লাহ আল মাসুমকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি লিভা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেন। অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী নেওয়ার পথে আলমডাঙ্গায় পৌঁছালে লিভা খাতুনও মারা যান।

পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
লুৎফুল কবীর, পরিদর্শক (তদন্ত), চুয়াডাঙ্গা সদর থানা

নিহত আবদুল্লাহ আল মাসুমের চাচাতো ভাই হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবদুল্লাহ আল মাসুমের গ্রামে কাপড়ের দোকান রয়েছে। একমাত্র মেয়ে মিথিলাকে (৫) বাড়িতে রেখে জরুরি প্রয়োজনে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আজ সন্ধ্যায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনই মারা গেছেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর বলেন, পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।