চেতনানাশকমিশ্রিত খাবার খেয়ে অতিথিসহ অচেতন ৫

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চেতনানাশকমিশ্রিত ডাল খেয়ে এক পরিবারের তিনজন ও দাওয়াত খেতে আসা আরও দুই মেহমান অচেতন হয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর ওই পরিবারের সোনার গয়না ও টাকাভর্তি একটি ব্যাগ খোয়া গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার সিংদই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ পাঁচজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, টুকটাক কথা বলছেন চেতনা ফিরে পাওয়া নিলুফার ইয়াসমীন (৪৫)। তিনি বলেন, গতকাল তিনি ও তাঁর স্বামী মোশাররফ হোসেন (৬০), মেয়ে তানিয়া আক্তার (২৫) রাতের খাবার খেয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। একই খাবার খান তাঁদের পাশের বাড়ির দুই অতিথি রহুল আমীন (৩৫) ও হাবিবুর রহমান (১৩)।খাবার খাওয়ার পর তাঁর স্বামী সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর মেয়েও তাঁর কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি ডাল অল্প খেয়েছিলেন। তাই অপেক্ষাকৃত সুস্থ ছিলেন।

শেষ রাতের দিকে তাঁর স্বামী খাট থেকে পড়ে যান। শব্দ পেয়ে তাঁর (নিলুফার) ঘুম ভাঙে। স্বামীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার করে মেয়েকে ডেকে তোলেন। মেয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে বমি করতে থাকে। এ সময় তিনিও অসুস্থ হয়ে যান। পরে তাঁর ভাই স্বপন মিয়াকে ডেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন জানতে পারেন, তাঁদের বাড়িতে আসা অতিথিরাও অসুস্থ।

নিলুফার বলেন, কারা এ কাজ করেছে, তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে ঘরে থাকা একটি ব্যাগ খোয়া গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। ওই ব্যাগে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৩ জোড়া সোনার কানের দুল ও ১টি গলার (সোনার) হার ছিল। বাড়ি গিয়ে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবেন কী কী খোয়া গেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আকাইদ বলেন, খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধজাতীয় কিছু মেশানো হয়ে থাকতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত হলে ক্ষতিও হতে পারত। যে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, তিনি ঘটনাটি জানেন না। থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।