চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়েছেন ৯ ইউপি সদস্য

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ওরফে টিপুর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুরে ইউনিয়নের আমগ্রাম কৃষ্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, স্থানীয় রাজনীতির কারণে ইউপি সদস্যরা এসব অভিযোগ করছেন।

এর আগে ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান পরিষদের সদস্যদের নিয়ে কোনো সভা করেন না। তিনি বাসা থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। দুর্নীতি করার সুবিধার্থে তিনি কমিটিতে সদস্যদের রাখেন না। তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করে নানাভাবে প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। প্রতিবাদ করলে সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বাসার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলায়েত মাতুব্বর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অসীম বৈরাগী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দীনেশ চন্দ্র বালা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিনাথ বিশ্বাস, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়দেব মধু, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছালমা বেগম, রমা রায় ও গীতা ঘরামী।

ইউপি সদস্য বেলায়েত মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার এলাকার মসজিদে টিআর বরাদ্দ হয়, অথচ সেই টিআর আর মসজিদগুলোয় আসে না। সবই চেয়ারম্যান বরাদ্দের নামে আত্মসাৎ করেন। আমার এলাকার একটি রাস্তার দুই পাশে ৪০ দিন মাটি কাটার একটি কর্মসূচি ছিল। সেই কাজ না করে চেয়ারম্যান আমার সই নকল করে বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন।’

অসীম বৈরাগী নামের আরও এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমাদের চেনেন না। চার বছরে এক টাকাও ভাতা দেননি। তিনি গরিবের সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে ৩০-৪০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের হুমকিও দিয়েছেন চেয়ারম্যান।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এখানে ইউপি সদস্যরা গ্রুপিংয়ে পড়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাঁরা জেলা প্রশাসকের কাছে যে অভিযোগ দিয়েছেন, সেটার তদন্ত প্রতিবেদন আসুক। তাহলেও প্রমাণ হবে, তাঁরা কী উদ্দেশ্যে এসব করছেন।’