চোখের সামনে একটার পর একটা দোকান পুড়ে যেতে দেখলেন, কিছুই করার ছিল না

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও যোগ দেন
ছবি: আনিস মাহমুদ

প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর সিলেটের লালদীঘির হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ততক্ষণে মার্কেটের ২০ থেকে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে সর্বস্ব হারিয়ে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন অনেক ব্যবসায়ী। ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলতে না পারলেও ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তাঁদের।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না তাঁদের
ছবি: আনিস মাহমুদ

ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা কয়েক কোটি টাকার পণ্য তুলেছিলেন। আগুনে সেসব পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আগের দিন ভয়াবহ এমন ঘটনায় ব্যবসায়ীরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। পুড়ে যাওয়া দোকানমালিকদের সর্বস্ব হারিয়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে। অনেক ব্যবসায়ীকে কিছু মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্কেটের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গলির অসংখ্যা দোকান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় সব কটিই পোশাকের দোকান। মার্কেটটিতে পাইকারি দরে পোশাক বিক্রি হতো। খুচরা ব্যবসায়ী ও স্বল্প আয়ের মানুষ এখানে কেনাকাটা করতে আসতেন।

ভয়াবহ আগুনে সর্বস্ব হারিয়েছেন এই ব্যবসায়ী
ছবি: আনিস মাহমুদ

সকাল পৌনে ছয়টার দিকে মার্কেটের ভেতরে এক পাশে বসে একজন মধ্যবয়স্ক ব্যবসায়ীকে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, তাঁর বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি একের পর এক দোকানগুলো পুড়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু তাঁর কিছুই করার ছিল না। দোকানগুলো পুড়ে যাওয়ায় তাঁর দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

মার্কেটের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী জাহেদ আহমদ জানান, গত শনিবার দোকানে নতুন পণ্য তুলেছেন। সেসব কাপড় এখনো গোছাতে পারেননি। এর আগেই আগুন লেগেছে।

সিনহা ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে এসে দেখেন তাঁর দোকান পুড়ে গেছে।

আরও পড়ুন