ছাতকে ভারী বৃষ্টিতে টিলা ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের মাইকিং

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে টিলা ধসের আশঙ্কায় মানুষজনকে সতর্ক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার ছাতক পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মাইকিং হয়।

মাইকিংয়ে বলা হয়, সম্প্রতি সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে টিলা ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যাঁরা টিলার আশপাশে বসবাস করেন, তাঁদের সতর্ক ও নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাতক পৌর শহরসহ দুটি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি পরিবার টিলার আশপাশে বসবাস করে। এর মধ্যে ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকায় ‘ইংলিশ টিলার’ তিন দিকে বসবাস ৫০–৬০টি পরিবারের। ভারী বৃষ্টির কারণে এসব পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন জীবনের ঝুঁকিতে।

এই টিলা প্রায় ২০০ ফুট উঁচু। টিলার ওপর ৪০–৫০ ফুট উঁচু একটি পাকা স্তম্ভ রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই স্তম্ভটি বহুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মাঝখানে ফাটলসহ হেলে আছে একদিকে।

ছাতক পৌর শহরের নোয়ারাই গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, বর্ষা এলেই ভারী বৃষ্টি হয়। এতে ঝুঁকি বাড়ে। প্রশাসন থেকে বেশ কয়েকবার ইংলিশ টিলার ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু লোকজন সরছেন না। যেকোনো সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শুধু ছাতক শহরই নয়, উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও, রাজনপুর ও ধনি টিলা গ্রাম, নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়ারাই-ইসলামপুর, ছনখাই, রাজারগাঁও এলাকায় লোকজন টিলার আশপাশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুরে টিলা ধসের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন মারা যান। সুনামগঞ্জেও কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার ছাতক উপজেলায় টিলার সংখ্যা বেশি। তাই ছাতক উপজেলা প্রশাসন টিলার ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে সতর্ক করতে মাইকিং করে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ছাতক শহরের ইংলিশ টিলার পাশে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদে সরে যাওয়া উচিত। আগেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের এই আহ্বান জানানো হয়েছে। এবারও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে ছাতকে মাইকিং করিয়েছেন তাঁরা।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘ঝুঁকির বিষয়টি বারবার মানুষজনকে বলা হচ্ছে। কিন্তু লোকজন সেটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হয় না। তবে কোথাও চরম ঝুঁকি দেখ সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেব।’