ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের পদ হারালেন ফরিদপুরের রায়হান

মো. রায়হান রনি
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মো. রায়হান রনি (২৩) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল উভয় সংগঠনের পদ হারালেন। আজ শনিবার জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রায়হান রনিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের কারণে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি–আদর্শ লঙ্ঘনের দায়ে রায়হান রনিকে ছাত্রদল আলফাডাঙ্গা পৌরসভা কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রায়হান রনি। সেখানে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রদলের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁকে হেয় করার জন্য এগুলো প্রচার করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে রায়হান আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণের আগে তাঁকে ছাত্রদল নেতা বলে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, সেটা দুঃখজনক। তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শাসক দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ রায়হানের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। ছাত্রলীগ তাঁকে নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমরাও তাঁকে তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করেছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় কার সঙ্গে আলোচনা করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দিয়েছে, তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হলে এ জাতীয় অনভিপ্রেত ঘটনার সৃষ্টি হতো না।’

মো. রায়হান রনি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা। তিনি যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একাধারে উপজেলা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, আবার উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।