ছাত্রলীগ নেতাকে পিটুনির পর অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মো. আজম উদ্দিন (২০) নামের ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটুনি দিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। তাঁদের দাবি, আজম অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিরা পিটুনি দিয়ে তাঁকে আটকে রাখেন। তবে আজমের পক্ষের লোকজন বলছেন, তাঁকে পিটুনির পর কোমরে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মুহুরীপাড়ার ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজম উদ্দিন ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাজালিয়া অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের স্নাতকের ছাত্র। তাঁর বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদের পাড়া এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ চৌধুরী এবং উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক জেয়াবুল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার বেলা দুইটার দিকে চেয়ারম্যান ইলিয়াছের পক্ষের হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের নেতা আজম উদ্দিন মহুরী পাড়ায় যান। এ সময় জেয়াবুল হোসেনসহ তাঁর পক্ষের লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে তাঁরা অস্ত্রসহ আজম উদ্দিনকে আটক করেছে বলে পুলিশের কাছে খবর পাঠান। বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় আজমকে উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

যুবলীগের নেতা জেয়াবুল হোসেনের ভাষ্য, আজম উদ্দিনসহ কয়েকজন শনিবার দুপুরে মুহুরীপাড়ায় এসে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেন। একপর্যায়ে আজম তাঁকে দেখে অস্ত্র নিয়ে মারতে আসেন। এ সময় জেয়াবুলের পেছনে থাকা কয়েকজন যুবক তাঁকে আটক করে পিটুনি দেন। পরে আজমের কাছে পাওয়া অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ধর্মপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে জেয়াবুল হোসেনের লোকজন জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছিলেন। শনিবার দুপুরের দিকে আজম উদ্দিন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় ধর্মপুরের কর্নেল অলি আহমদ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় জেয়াবুলসহ কয়েকজন তাঁকে আটক করেন। তাঁকে মারধর করতে করতে মুহুরীপাড়ায় এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে তাঁর কোমরে একটি অস্ত্র গুঁজে দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজম উদ্দিন নামের এক তরুণকে অস্ত্রসহ আটক করার খবর পায় পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আজমের নামে থানায় দুটি মারামারির মামলা আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।