ছাত্রলীগের দুই নেতার ইয়াবা সেবনের ছবি ফেসবুকে

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের দুই নেতার ইয়াবা সেবনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। এতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এরই মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আর আজ বৃহস্পতিবার মহানগর ছাত্রলীগের ওই নেতাকে ‘ডোপ’ পরীক্ষার সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে।

ওই দুই নেতা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান ও মহানগর ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মির্জা আহমেদ।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত। এঁরা কীভাবে দলে জায়গা পাচ্ছেন, জানি না। কোনো একটি পরিবার এই ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। তাঁদের ইচ্ছেতেই কমিটি হয়। তাঁদের সুবিধার জন্যই বিতর্কিত ব্যক্তিদের ছাত্রলীগে স্থান দেওয়া হচ্ছে।’

ছাত্রলীগের সূত্রে জানা যায়, ৭ অক্টোবর সোহানুরের ইয়াবা সেবনের ছবি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, সোহানুর চেয়ারে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। এ ছবি প্রকাশের সপ্তাহখানেক পর মির্জা আহমেদের ইয়াবা সেবনের একটি ছবিও স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে দুটি ছবিই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় সোহানুরের বহিষ্কার চেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর সুপারিশ পাঠিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। আর মির্জা আহমেদকে আগামী তিন দিনের মধ্যে ডোপ পরীক্ষার সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে। ডোপ পরীক্ষার সনদ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে মহানগর ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোহানুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে কল করে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জা আহমেদের মুঠোফোনে কল ঢুকলেও তিনি ধরেননি।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, সোহানুরের বহিষ্কার চেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কেউ অপকর্ম করলে তাঁর দায় দল নেবে না। মির্জা আহমেদকে ডোপ টেস্ট করে সনদ দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর মা–বাবার লিখিত দরখাস্তও চাওয়া হয়েছে।