ছাদে ৪০ ধরনের ফল-সবজি

পিরোজপুর শহরের শিক্ষা অফিস সড়কের বাড়ির ছাদে গাছ পরিচর্যা করছেন মিজানুর রহমান। সম্প্রতি তোলা ছবি।  প্রথম আলো
পিরোজপুর শহরের শিক্ষা অফিস সড়কের বাড়ির ছাদে গাছ পরিচর্যা করছেন মিজানুর রহমান। সম্প্রতি তোলা ছবি। প্রথম আলো

তিন তলা বাড়ির ছাদজুড়ে নানা প্রজাতির ফল। এখানে ৪০ ধরনের ফল ও সবজি। তিন বছর ধরে বাগানটি গড়ে তুলেছেন চাকরিজীবী মিজানুর রহমান। শখের বশে ছাদবাগান শুরু করলেও গত কয়েক বছর এখানে উৎপাদিত শাকসবজি ও ফল তাঁর পরিবারের চাহিদা অনেকাংশে মেটাচ্ছে। কিছু কিছু ফল তাঁরা স্বজন ও প্রতিবেশীদেরও দিচ্ছেন।

পিরোজপুর শহরের শিক্ষা অফিস সড়কের তিন তলা বাড়ির মালিক মিজানুর রহমানের তিন ভাই। তবে বাড়িতে ছাদবাগান করার পরিকল্পনা মিজানুর রহমানের। পরিপাটি ছাদে তৈরি করা মাচায় ঝুলছে লাউ ও কুমড়ো। শিমের লতায় ধরেছে রঙিন ফুল। বাগানের লাউয়ের মাচার নিচে রয়েছে কয়েকটি চেয়ার আর একটি টেবিল। সাতসকালে সেখানে বসে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকা পড়েন মিজানুর। সকাল–বিকেল দুবার বাগানের পরিচর্যা করেন তিনি।

>

পিরোজপুর জেলা শহরে প্রথমে ২০১২ সালে শখ করে ফৌজিয়া খন্দকার নামে এক গৃহিণী ছাদবাগান শুরু করেন
প্রথম এই বাগানে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিল

ছাদবাগান করার কারণ জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, এক আত্মীয়ের বাড়ির ছাদে বাগান দেখে তিনি ছাদবাগান শুরু করেন। ২০১৭ সালের শুরুতে ছাদে নানা জাতের আমগাছ, পেয়ারা, মাল্টা ও শীতকালীন সবজি আবাদ করেন। এ বছর লাউ, কুমড়া, শিম, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, শালগম, পেঁয়াজ, গাজর, টমেটো,  স্কয়াশ, মরিচ, লালশাক, পালংশাকের চাষ করেছেন। এ ছাড়া তাঁর বাগানে রয়েছে বড়ই, সফেদা, শরীফা, জলপাই, জামরুল, লেবু, আমড়া, ব্ল্যাকবেরি, সাদা জাম, লাল জাম্বুরা, ভিয়েতনামি নারকেল, বারোমাসি কাঁঠাল। বর্ষাকালে ছাদে তিনি ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাক, চালকুমড়া ও লাউ চাষ করেন। এ ছাড়া সারা বছর শিম ও লাউয়ের চাষ করেন। বাগানে রয়েছে বারোমাসি আমগাছ।

পিরোজপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর শহরে ১০ থেকে ১২ বছর ধরে ছাদকৃষি শুরু হয়। একসময় বাড়ির ছাদে ফল ও ফুলের বাগান করা হতো। কয়েক বছর ধরে ছাদবাগানে শাকসবজির চাষে আগ্রহ বাড়ছে। ২০১৫ সালে পিরোজপুর শহরে ১২টি ছাদবাগানের তথ্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে শহরের ১৫ থেকে ২০টি বাড়ির ছাদে বাগান হচ্ছে।