ছেলের পর করোনায় মারা গেলেন জগন্নাথপুরের মানবদরদি তছির আলী

লন্ডনপ্রবাসী জগন্নাথপুরবাসীর হিতৈষী তছির আলী। এক মাসের ব্যবধানে ছেলের পর করোনায় আজ মারা গেছেন তিনি
সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মানুষের পাশে সামাজিক ও মানবিক কাজে সব সময়ের সঙ্গী প্রবাসী তছির আলী মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রয়্যাল হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৯ ডিসেম্বর তাঁর ছেলে রুবেল মিয়াও (২১) মারা যান। বর্তমানে তছির আলীর বড় ছেলে রুহেল মিয়াও (২৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।

অল্প দিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জগন্নাথপুরের সন্তান লন্ডনপ্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুতে জগন্নাথপুরে শোকের ছায় নেমে এসেছে। যুক্তরাজ্য ও জগন্নাথপুরে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তছির আলী। জগন্নাথপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকা তাঁর ভাই আজাদ আলী বলেন, ‘করোনায় পুরো পরিবারটি তছনছ হয়ে গেছে। এ শোক সহ্য করতে পারছি না।’

তছির আলী জগন্নাথপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। উপজেলা পর্যায়ে বেসরকারি উদ্যোগে লাশ রাখার হিমঘর নির্মাণ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রবাসী তছির আলী এটি বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সফিকুল হক বলেন, জগন্নাথপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে তছির আলী অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তাঁর অর্থায়নে জগন্নাথপুর উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে উপজেলায় লাশ রাখার ঘর (মরচুয়ারি) স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া অনেক মানবিক কাজে তিনি মানুষের পাশে ছিলেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধুসূদন ধর বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বেসরকারি উদ্যোগে লাশ রাখার হিমঘর নির্মাণ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রবাসী তছির আলী এটি বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। যে কারণে জগন্নাথপুরবাসী তাঁকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে।

লন্ডনের নতুন দিন পত্রিকার সম্পাদক মহিব চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় যুক্তরাজ্যর বাঙালি কমিউনিটিতে এখন মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন পরিচিতজন ও স্বজনের অকালমৃত্যু আমাদের বাকরুদ্ধ করছে।’