ছোট বোনের কান্না থামাতে দা দিয়ে কোপের অভিযোগ, মৃত্যু

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বড় বোনের দায়ের কোপে ছোট বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশুটির বয়স আড়াই মাস। পুলিশ ও পরিবার বলছে, আড়াই মাস বয়সী ছোট বোনের কান্না থামাতে আড়াই বছর বয়সী বড় বোন তাকে দা দিয়ে কোপ দেয়।
নিহত শিশুটির ১২, ৯, ৭ ও আড়াই বছর বয়সী চার বোন আছে। তাদের বসতঘরটি পাহাড়ের ওপরে। ঘরের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো ঘরবাড়ি নেই।

শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এ টি এম আশরাফুল হক। তিনি বলেন, শিশুটির মুখে শুধু দায়ের কোপের চিহ্ন। তার মুখমণ্ডলে অন্তত আটটি কোপের চিহ্ন দেখা গেছে।

শিশুটির মায়ের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে আড়াই মাস ও আড়াই বছরের দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি ঘরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের পাশে একটি খোলা জায়গায় কয়েকজন শিশু ক্রিকেট খেলছিল। ক্রিকেট বল পড়ে পাহাড়ের ঢালুতে তাঁর পানের বরজের ক্ষতি হচ্ছিল দেখে শিশুদের খেলতে বাধা দিতে যান তিনি। সেখান থেকে ঘরে ফিরে দেখেন, ঘরের মেঝেতে আড়াই মাসের মেয়েটির রক্ত পড়ে আছে। পাশে দা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আড়াই বছরের মেয়েটি। এ সময় মেয়ে মাকে বলে, ‘বেশি কান্না করতেছে। কুপাইছি। এখন আর কান্না করতেছে না।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দুটি শিশুই অবুঝ। তাদের মা-বাবারও কোনো অভিযোগ নেই। এ কারণে মেয়েটির লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।