জগন্নাথপুরের সেই দুই গ্রামের ৩৫টি পরিবার পেল বিদ্যুৎ–সংযোগ

সংযোগ চালুর আগে খুঁটিগুলোতে তার পরীক্ষা করে দেখেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর আহমেদাবাদ গ্রামে
সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সেই দুই গ্রামের ৩৫ পরিবার বিদ্যুৎ–সংযোগ পেয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘দুই বছর ধরে ঘুরেও বিদ্যুৎ–সংযোগ পায়নি ৩৫ পরিবার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুত গ্রাম দুটিতে সংযোগ দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আছিমপুর গ্রামে ও বেলা দুইটার পর কুবাজপুর আহমেদাবাদ গ্রামে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়।

জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশল বিদ্যুৎ কার্যালয়ের প্রকৌশলী আজাদুর রহমান গ্রাম দুটি বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, হাওর–অধ্যুষিত রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর আহমেদাবাদ ও আছিমপুর গ্রামে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিলেন। গত বর্ষা মৌসুমে পানির জন্য হাওরের এ দুটি গ্রামে কাজ করা যায়নি। হেমন্তে পানি কমলে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ভেঙে যাওয়া সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। এর মধ্যেও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা কষ্ট করে খুঁটি ও তার টানার কাজ করেন। বাকি থাকা কিছু কাজ শেষে আজ ওই দুটি গ্রামে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

আজাদুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক নানা সমস্যার মধ্যেও সংযোগ দিতে তাঁদের আন্তরিকতার কমতি ছিল না। প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদটি তাঁদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করেছে।

সকালে বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ পান আছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল ওয়াহিদ। তিনি বলেন, নিজেদের ঘর থেকে অন্যের ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে দেখেছেন। এ নিয়ে এত দিন মনে কষ্ট ছিল। এখন সে কষ্ট দূর হয়েছে।

রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আন্তরিকতার কারণে তাঁর ইউনিয়নের অবহেলিত হাওরপারের দুটি গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছেছে। সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। অবহেলিত হাওর অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছার মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন