জনগণ সবই জানে, সবকিছু দেখছে

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৮ বছর উপলক্ষ্যে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আয়োজনে সমাবেশে বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনের সামনের সড়কে।ছবি: প্রথম আলো

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের মানুষ যে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন, কাজ করে যাচ্ছে, তার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য আছে। এটা শুধু ত্বকী হত্যার বিচার করবে না, সারা বাংলাদেশে সব খুন, গুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের যে আন্দোলন, সেটার প্রতীক হয়ে থাকবে, প্রেরণা হয়ে থাকবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার আট বছর উপলক্ষে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আপনাদের নিয়ন্ত্রিত আদালতের চেয়ে জনতার আদালত অনেক বেশি শক্তিশালী। আপনাদের নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থার চাইতে জনগণের নজরদারি অনেক বেশি শক্তিশালী। জনগণ সবই জানে, সবকিছু দেখছে। জনগণ যে রায় দেবে, সেই রায় সরকার ও রাষ্ট্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা ত্বকী হত্যা, সাগর-রুনি, মুশতাক হত্যার ক্ষেত্রে হবে। বাংলাদেশ এখন লুটেরা দখলদার নির্যাতনকারী, পাচারকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।’

সংগঠনের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, সদস্যসচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, খেলাঘর আসর জেলা কমিটির সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, বাসদ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সমমনা সভাপতি দুলাল সাহা, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সভাপতি জাবেদ বাবু প্রমুখ।

সমাবেশে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আট বছরেও ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হয়নি, সেটি আমরা সবাই জানি। হত্যাকাণ্ডের এক বছরেই র‌্যাব যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে তদন্ত কাজটি সম্পন্ন করে। এ জন্য তাদের কৃতিত্ব রয়েছে। ওই অভিযোগপত্র সেটি ফাইলবন্দী করে রেখেছে।’

রফিউর রাব্বি অভিযোগ করেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তাদের অনুগত বাহিনী দিয়ে। ওসমান পরিবারই নারায়ণগঞ্জে খুনের রাজনীতি করেন। শামীম ওসমান তাঁর অনুগত ক্যাডার পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজকে হত্যা করে করেছে। অবিলম্বে তিনি ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।