জনগণ সুপেয় পানি পাবে না, এটা উন্নয়নের ফর্মুলা নয়: রিজওয়ানা

চট্টগ্রামের পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে শিল্পকারখানার কারণে সুপেয় পানির সংকট এবং পরিবেশদূষণ রোধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণশুনানি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জনগণ সুপেয় পানি পাবে না, এটা উন্নয়নের ফর্মুলা হতে পারে না। চট্টগ্রামের পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে শিল্পকারখানার কারণে সুপেয় পানির সংকট এবং পরিবেশদূষণ রোধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণশুনানি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রিজওয়ানা হাসান এ মন্তব্য করেন।

নগরের কাজীর দেউড়ির ব্র্যাক সেন্টারে ভুক্তভোগী স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বেলা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট অনেক দিনের। শিল্পকারখানাগুলোর অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করার কারণে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। এলাকার জনগণ শিল্পকারখানা গড়তে বাধা দেয়নি। কিন্তু কারখানার কারণে গ্রামবাসী কষ্ট পাচ্ছে। এলাকাবাসী পানির কষ্ট পাবে, এটা উন্নয়নের ফর্মুলা হতে পারে না।

বেলার নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, পরিবেশদূষণও করে যাচ্ছে কারখানাগুলো। এ কারণে বেলা জনস্বার্থে একটি মামলা করেছিল। ২০১৯ সালে আদালত রায়ে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন। কিন্তু এরপর করোনার প্রকোপ শুরু হয়। তারপরও রায় বাস্তবায়নে সরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগ নেয়। তাই করণীয় নির্ধারণে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এ দায়িত্ব কতটা পালিত হচ্ছে? কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হোক, সেটা জনগণ চায় না। কিন্তু চার গ্রামের জনগণের পানির আধার বন্ধ করে এটা হতে পারে না।

শুনানিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সেলিনা আকতার, ওয়াসার প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উত্তম মজুমদার প্রমুখ।