জব্দ করা অটোরিকশা চুরি, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে প্রত্যাহার করে সিলেটে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গতকাল বিকেলে মহাসড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা জব্দ করে। অটোরিকশাটির মালিক ও চালক বিজয়নগর উপজেলার বারঘুরিয়া গ্রামের নূর হোসেন (২৮)। পরে হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশাটি তাঁদের জব্দ করা যানবাহন রাখার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে (ডাম্পিং ইয়ার্ড) রেখে দেন। স্থানটি হাইওয়ে থানার অদূরে সরাইল উপজেলা সদরের দক্ষিণ কুট্টাপাড়া এলাকায় অবস্থিত। রাত ১০টার দিকে এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে নূর হোসেন কৌশলে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ডাম্পিং ইয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য রহিম বাদশা। রহিম বাদশা রাত ১০টার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান, পাঁচ–ছয়জনের একদল ছিনতাইকারী তাঁকে মারধর করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়েছেন। অটোরিকশারটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এ ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাবঘুরিয়া গ্রাম থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। রাতেই পুলিশের জিম্মায় থাকা অটোরিকশা চুরির অভিযোগে পুলিশ নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। অটোরিকশাটি পুলিশের জিম্মা থেকে চুরি হয়েছিল। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে রহিম বাদশাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। নূর ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।