জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলি করে যুবককে হত্যা

খুন
প্রতীকী ছবি

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, কৃষিজমি নিয়ে বিরোধের জেরে নাওডোবা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক মারা গেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ফরহাদ মল্লিক (২৮) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাওডোবা হাজি তাহের আলী মল্লিককান্দি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে পাশের গ্রামের জুলহাস ব্যাপারী ফরহাদকে গুলি করেছেন বলে দাবি করেছে ওই যুবকের পরিবার। এ সময় আরও তিন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

হামলায় ফরহাদ মল্লিক (২৮) ছাড়াও দিদার মুন্সি (২২), রেজাউল মল্লিক (২৮) ও এনামুল মুন্সি (২৮) নামের আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর ফরহাদ মারা যান।

জাজিরা থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের হাজি তাহের মল্লিককান্দি গ্রামের তৈয়ব আলী মল্লিকের ছেলের সঙ্গে পাশের শিবচর উপজেলার হাসেম ব্যাপারীকান্দি গ্রামের জুলহাস ব্যাপারীর কৃষিজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ ওই জমিতে মাটিকাটা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে গ্রামবাসী বিষয়টি সমঝোতার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে সভা করে। এতে মীমাংসা না হওয়ায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরহাদ মল্লিকের ওপর গুলি চালান জুলহাস ব্যাপারী ও তাঁর লোকজন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুলহাসের মামা নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জলিল গোমস্তা।

হামলায় ফরহাদ মল্লিক (২৮) ছাড়াও দিদার মুন্সি (২২), রেজাউল মল্লিক (২৮) ও এনামুল মুন্সি (২৮) নামের আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর ফরহাদ মারা যান। উন্নত চিকিৎসার জন্য দিদার মুন্সি ও রেজাউল মল্লিককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর এনামুল মুন্সি জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত ফরহাদের বাবা তৈয়ব আলী মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জলিল গোমস্তার ইন্ধনে জুলহাস আমাদের কৃষিজমি দখল করতে চায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধ। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। আজ তারা আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

ঘটনার পর থেকেই জুলহাস ব্যাপারী ও জলিল গোমস্তা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।