জরাজীর্ণ ভবনে সেবা কার্যক্রম

খসে পড়েছে পলেস্তারা। সম্প্রতি রানীনগরের কালিগ্রাম ইউপি কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পরিষদের দাপ্তরিক কাজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যরা। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সেখানে সেবা নিতে আসছেন শত শত মানুষ।

ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগ্রাম ইউপির জন্মলগ্ন থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চলে আসছিল। ২০০২-০৩ সালে উপজেলার খানপুকুর এলাকায় ৬৬ শতক জমি কেনে ইউপি কর্তৃপক্ষ। সেখানে একটি দোতলা ও একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে ভবন দুটি কোনো সংস্কার বা মেরামতের মুখ দেখেনি। এ কারণে জরাজীর্ণ দুটি ভবনই বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায় সময় ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। খসে পড়ছে পোকায় খেয়ে নষ্ট করা দরজা-জানালাসহ অন্যান্য উপকরণ। জানালার গ্রিলগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কার্যালয়ের নিরাপত্তাবেষ্টনী নড়বড়ে। ফলে রাতের বেলায় এখানে মাদকসেবী ও অপরাধীদের আড্ডা বসে। ইতিমধ্যে ইউপি কার্যালয়ের অনেক মূল্যবান সামগ্রী রাতের আঁধারে চুরি হয়ে গেছে।

কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা রাতোয়াল গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, এই কার্যালয়ে সেবা নিতে এলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। তাই সেবা নেওয়ার সময় হওয়ার আগপর্যন্ত কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। সেবা নেওয়ার জন্য ডাক পড়লেই কেবল ভেতরে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটির সংস্কার করার মতো বিপুল পরিমাণ অর্থ ইউপি কর্তৃপক্ষের নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।’

রানীনগরের ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, কালীগ্রাম ইউপি ভবনের দুরবস্থার বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছেন। দ্রুত সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।