জলদস্যু বাহিনীর ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলি ও নৌকা জব্দ

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি হওয়া এলাকার মানচিত্র
ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী জলদস্যু বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া-পঙ্গীয়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল শহরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার খলিল জমাদ্দার (৫০), পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মাহতাব পেয়াদা (৩৩), জামাল আকন্দ (৩৬), মো. মাছুম ওরফে মানছুর খলিফা (৪৬) ও গলাচিপা উপজেলার মিনাজ খাঁ (৪০)। তাঁদের মধ্যে খলিল জমাদ্দার জলদস্যুদের মূল সমন্বয়কারী বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া-পঙ্গীয়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। জলদস্যুরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন জলদস্যু পালিয়ে যান। এ সময় র‌্যাব পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। র‌্যাব তাঁদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কিছু গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নৌকা জব্দ করে।

র‌্যাব-৮–এর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মুঈন বলেন, গ্রেপ্তার খলিল জমাদ্দার দলের মূল সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তালতলী, আমতলী, পটুয়াখালীতে দোকান পরিচালনার ছদ্মবেশে ডাকাতি কার্যক্রমের সমন্বয় করেন। ডাকাত দলের লুণ্ঠিত মাছ কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। ডাকাতি শেষে এ কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও করেন তিনি। গ্রেপ্তার মাহতাব পেয়াদা, খলিল জমাদ্দার, জামাল আকন্দ, মিনাজ খাঁ সশরীর ডাকাতিতে অংশ নেন এবং মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত জেলেদের ওপর নির্যাতন চালান।