জলমহালের মাছ লুটের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমানকে একটি জলমহালের মাছ লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জিয়াউর রহমান দাবি করেন, তাঁকে হয়রানি করতেই মিথ্যা অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দিরাই থানায় সাংবাদিক জিয়াউরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দিরাই পৌর শহরের চণ্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা মো. রায়হান মিয়া। তিনি দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়ার ভাতিজা। এ মামলায় পুলিশ সাংবাদিক জিয়াউরকে গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁর পৌর শহরের চণ্ডিপুর এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

রায়হান মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের পাশে চাতল নামে একটি জলমহাল আছে। এটির বৈধ ইজারাদার স্থানীয় চান্দপুর বালি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। রায়হান ওই সমিতির সঙ্গে ভাগীদার হিসেবে যুক্ত। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জিয়াউরসহ অন্যরা সেখানে গিয়ে জলমহালের পাহাদারদের হুমকি ও মারধর করে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার মাছ লুট করেন।

গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার দুপুরে জিয়াউরকে সুনামগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি জানান, ওই জলমহালের পাশে থাকা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর দখলে নিতে চেষ্টা করেন ইজারাদারের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে পুলিশ যায়। পরে তিনিও সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে চলে আসে।

জিয়াউর প্রথম আলোকে বলেন, ‘রায়হান মিয়ার চাচা মোশাররফ মিয়ার নানা অনিয়ম নিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে সংবাদ লিখেছি। এ ছাড়া গত ১৭ আগস্ট মোশাররফ মিয়ার পরিবারের লোকজন দিরাই শহরে এক সাংবাদিককে মারধর করেন। আমি এটিরও প্রতিবাদ করি। এসব কারণে তাঁরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এ মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

দিরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকরাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিদিষ্ট মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াউরকে গ্রেপ্তার করেছি। অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জিয়াউরকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’