জলাবদ্ধতা দূর করার দাবি ভোটারদের

  • বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার অবস্থা খারাপ। কয়েকটি এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণা এখন তুঙ্গে। পৌর সদরের রাস্তার মোড়, জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ স্থান মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরাও এলাকা ঘুরে ঘুরে ভোট চেয়ে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে ভোটাররা রাস্তা নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্যোগ যিনি নেবেন, তাঁকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। গত সোমবার পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ৩০ জানুয়ারি ভালুকা পৌরসভা নির্বাচন। এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন ও বিএনপির হাতেম খান। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ী হবেন বলে জানিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাতেম খান।

পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকার কথা স্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গত দুইবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়ে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নালা নির্মাণ করেছিলেন। তবে ২ নম্বর ওয়ার্ডের খানবাড়ি মসজিদের পেছনে কিছু এলাকায় সামান্য সমস্যা রয়েছে। জনগণের ভোটে এবার নির্বাচিত হয়ে ওই এলাকার জলাবদ্ধতার দূর করার কাজ করবেন।

এখন আর জনগণের ভোটের প্রয়োজন পড়ে না। সরকারি দলের ছেলেপেলেরাই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলে।
এক ব্যবসায়ীর ভাষ্য

বিএনপির প্রার্থী হাতেম খান বলেন, প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন করলে তিনি বিজয়ী হবেন। ভালুকা পৌরসভার জনগণের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা তিনি জানেন। এখানে পরিকল্পনামতো কোনো ধরনের কাজ হয়নি। পৌর সদরের বেশির ভাগ এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বাসাবাড়িতে পানি জমে থাকে। খেলাধুলার জায়গা ও বিনোদনকেন্দ্র না থাকায় শিশু–কিশোরেরা বিপথে চলে যাচ্ছে।

সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে চান নতুন ভোটাররা। এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মো. যোহাদ (২০) বলেন, তিনি এবারই প্রথম ভোট দেবেন। দলীয় পরিচয় না দেখে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোটটি দিতে চান তিনি।

কোন মাপকাঠিতে যোগ্য প্রার্থীকে ঠিক করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. সানা উল্লাহ বলেন, তাঁর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাই সরু। রাস্তার তেমন একটা উন্নয়নও হয়নি। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। রাস্তায় সড়কবাতি লাগালেও আলো জ্বলে না। নালা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে ময়লা পানি জমে যায়।

সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন আর জনগণের ভোটের প্রয়োজন পড়ে না। সরকারি দলের ছেলেপেলেরাই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলে।