জাজিরায় ইমাম করোনায় আক্রান্ত, ১০ জন কোয়ারেন্টিনে

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ইমাম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে পর্যন্ত ওই মসজিদ বন্ধ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি আবাসিক ভবন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে এসব তথ্য দিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসে প্রবেশমুখে জামে মসজিদটির অবস্থান। ওই মসজিদের ইমাম গত ২৯ এপ্রিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্বশুরের জানাজায় অংশ নিতে যান। তিনি সেখানে ৩ মে পর্যন্ত অবস্থান করেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পর ৫ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার ফলাফলে তাঁর করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। গত কয়েক দিনে ওই ইমাম ও তাঁর স্ত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন হাসপাতালের তিনজন নার্স ও সাতজন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাম্পাসের দুটি আবাসিক ভবনে থাকেন। ইমামের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর ওই ১০ স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ভবন দুটি লকডাউন করা হয়।

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমাম চাঁদপুরে গিয়েছিলেন। ওই কারণে ৫ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ ফলাফল হাতে পেয়ে দেখি, ওই ইমামের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ‘পজিটিভ’। এ কারণে ওই ইমামের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আমাদের ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমাম চাঁদপুর থেকে আসার পর আর মসজিদে যাননি। তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। তারপরও কিছু ব্যক্তি তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁদের সবার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় কিছুদিনের জন্য ওই মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মসজিদটি খুলে দেওয়া হবে।’