জাপা প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ

সিলেট জেলার মানচিত্র
প্রতীকী ছবি

সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতিকুর রহমান তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে প্রার্থীর দক্ষিণ সুরমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অভিযোগের বিষয়টি জানান।

সংবাদ সম্মেলন আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি–ধমকি দিচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের অযথাই পুলিশ ধরপাকড় করছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষ থেকে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে আতিকুর রহমানের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরশু দিন থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জাতীয় পার্টির ৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম তাঁর ‘স্মরণে’ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষ থেকে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে অন্য একজন ফোন ধরেন। গণসংযোগে ব্যস্ত থাকায় হাবিবুরের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। ফলে ২৮ জুলাই এ আসনে আবার ভোট গ্রহণ হবে। এই আসনে মোট ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটার রয়েছেন। মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।