জাপার ‘দুর্গে’ লাঙ্গলের বিপর্যয় যে কারণে

রংপুরকে জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ বলা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলাকে (রংপুর-৩) নিজেদের ‘ভোটব্যাংক’ দাবি করে দলটি। গত রোববার অনুষ্ঠিত তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এ উপজেলার দুটি ইউনিয়নেই লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ের দেখা পাননি। গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার ২৮টি ইউনিয়নে জয় এসেছে মাত্র ৩টিতে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকায় দলের এই বিপর্যয়।

রংপুর-৩ (সদর), গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ), কুড়িগ্রাম-২ (সদর), লালমনিরহাট-৩ (সদর), নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) ও নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ) এলাকায় মোট ৩০টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। এসব এলাকায় গত সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছে দলটি।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১১টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ১১ প্রার্থীই হেরেছেন। লালমনিরহাট সদরের পাঁচটি ইউনিয়নেও কেউ জেতেননি। নীলফামারীর জলঢাকায় চারটি ইউনিয়নে একজন জিতেছেন। একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন একজন। কুড়িগ্রাম সদরের তিন ইউনিয়নে একজন জয়ী হয়েছেন।

দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকায় দলের অবস্থা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। জেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ নেই। এসব কারণে দলের এমন শোচনীয় পরাজয় বলে মনে করছেন তাঁরা।

তবে জাতীয় পার্টি রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে গেলেও দলের অবস্থা যে খারাপ, তা কিন্তু নয়। কেননা, এই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়াও একটা ব্যাপার।’